সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪১ পূর্বাহ্ন
আরিফুর রহমান স্বপন, লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি : কুমিল্লার লাকসাম দৌলতগঞ্জ বাজারের নোয়াখালী রেলগেইট সংলগ্ন লাকসাম মিনি সুপার মার্কেটে শনিবার দিবাগত (৯ মে রোববার) রাত পৌনে দুইটার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০টি দোকান ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার দিবাগত (৯ মে রোববার) রাত পৌনে দুইটার দিকে আকস্মিক ভাবে লাকসাম পৌরশহরের প্রানকেন্দ্র দৌলতগঞ্জ বাজারের নোয়াখালী রেলগেইট সংলগ্ন লাকসাম মিনি সুপার মার্কেটের বনফুল কনফেকশনারী, তাদের স্টোর রুম ও কিচেন রুম, সফি ইলেকট্রিক এন্ড ইলেকট্রনিক্স, অগ্রনী মেশিনারীজ, বিছমিল্লাহ কম্পিউটার, মা ফার্মেসী, মদিনা ইলেকট্রিক, এস আর ইলেকট্রিক ও তাদের গোডাউন আগুনে পুড়ে যায়। খবর পেয়ে লাকসাম দৌলতগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও পানির তীব্র সংকটের কারণে তা সম্ভব হয়নি। ফলে মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য দোকানগুলোতে। তাৎক্ষনিক ভাবে পাশ্ববর্তী ফায়ার স্টেশনে খবর দিলে কুমিল্লা ইপিজেড ফায়ার সার্ভিস ও চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিসসহ মোট ৫টি ইউনিট বাজারের বহু দুরে লাকসাম পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুর থেকে পানি সংগ্রহ করে প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। তবে অগ্নিকাণ্ডের কারন এখনো জানা যায়নি। এদিকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
অপরদিকে ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পাশ্ববর্তী খাতুন মার্কেট, খাতুন মেগা সিটি সুপার মার্কেট ও কাজী মার্কেটসহ আশপাশের প্রায় অর্ধাশতাধিক দোকানিদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এসময় স্থানীয় লোকজনের আত্মচিৎকার এবং টহলরত পুলিশের বাঁশির আওয়াজে সমগ্র পৌরশহর কাঁপিয়ে উঠে। খবর পেয়ে পৌর মেয়র অধ্যাপক আবুল খায়ের, থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়াসহ পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কাউসার আহমেদের সহযোগিতা ও অক্লান্ত পরিশ্রমে অন্যান্য দোকানপাটগুলো অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছে।
ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের অভিযোগ, লাকসামে পুকুর ডোবা ও বিভিন্ন জলাশয় ভরাটের কারনে বাজারে ও এর আশপাশের এলাকায় আগেও একাধিকবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পানির সংকটে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ২০১৭ সালের ২১ জানুয়ারি লাকসাম দৌলতগঞ্জ বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় দেড় শতাধিক দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। একমাত্র পানি সংকটের কারণে ওই সময় এমন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। ফলে ওই ঘটনায় প্রায় শতকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ব্যবসায়ীদের।